আজ ১২ জুন মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পবিত্র লাইলাতুল কদর বা শবে কদর। মুসলমানদের কাছে শবে কদর অত্যন্ত মহিমান্বিত একটি রাত। এই রাতে পবিত্র কোরআন শরীফ অবতীর্ণ হয় এবং এই রাতকে কেন্দ্র করে ‘আল-কদর’ নামে একটি সুরাও নাজিল হয়। এই রাতে ইবাদত-বন্দেগি করে আল্লাহর কাছে গুনাহ মাফের জন্য প্রার্থনা করেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।
ইসলাম ধর্মে বলা হয়েছে, অন্যান্য সময়ে এক হাজার মাস ইবাদত করলে যে সওয়াব পাওয়া যায়, শবে কদরের রাতে ইবাদত করলে তার চেয়ে বেশি সওয়াব পাওয়া যায়। এই রাতে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর অনুসারীদের সম্মান বৃদ্ধি করা হয় এবং মানবজাতির ভাগ্য পুনর্নির্ধারণ করা হয়। সারা বিশ্বের মুসলমানদের কাছে এই রাত অতীব পুণ্যময় ও মহিমান্বিত।
২০ রমজানের পর যেকোনো বিজোড় রাতে কদর হতে পারে। তবে ২৬ রমজানের দিবাগত রাতেই লাইলাতুল কদর আসে বলে আলেমদের অভিমত। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুসলমানদের মতো বাংলাদেশের মুসলমানরাও নিজেদের গুনাহ মাফ এবং সওয়াব হাসিলের আশায় নফল ইবাদত, কোরআন তিলাওয়াত ও জিকির-আজকারের মধ্য দিয়ে রাতটি অতিবাহিত করবেন।
শবে কদর উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে আজ জোহরের নামাজের পর ওয়াজ ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। এ ছাড়া তারাবির নামাজ শেষে সেখানে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
এই পবিত্র রজনী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর বাণীতে দেশবাসীসহ বিশ্বের সব মুসলমানকে আন্তরিক মোবারকবাদ জানিয়েছেন। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে বাংলাদেশ ও মুসলিম জাহানের উত্তরোত্তর উন্নতি, শান্তি ও কল্যাণ কামনা করেছেন তিনি।
শবে কদর উপলক্ষে আগামীকাল বুধবার সরকারি ছুটি থাকবে।
- ব্রেকিংবিডিনিউজ২৪ / ১২ জুন ২০১৮ / তানজিল আহমেদ